চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ৬ শতাংশে নেমেছে

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ৬ শতাংশে নেমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৬ জন নতুন আক্রান্ত ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ সময় ৫ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি, এন্টিজেন টেস্ট, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংক্রমিত ৭৬ জনের মধ্যে শহরের ৫০ এবং সাত উপজেলার ২৬ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১২১ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৭০২ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৪১৯ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২৬ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ১৫, বোয়ালখালীতে ৩, সীতাকু-, আনোয়ারা ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং হাটহাজারী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় নগরীর একজন ও গ্রামের ৪ জন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৫১ জন হয়েছে। এর মধ্যে বাসিন্দা ৬৯৬ ও গ্রামের ৫৫৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ৩ জনসহ ৯ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১২ ও গ্রামের ৪ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭ ও গ্রামের ১৪টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের একজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৯০টি নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২ ও গ্রামের ১টি, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ১২৭ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০টি নমুনায় শহরের ৩টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৮ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৮২ নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ৩টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। নতুন যুক্ত ল্যাব এইডে গতকালও পরীক্ষিত ২টি নমুনারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের জন্যও কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ২৫, চবি’তে ১৯ দশমিক ৬২, এন্টিজেন টেস্টে ২ দশমিক ২২, আরটিআরএলে ৪০ শতাংশ, শেভরনে ১ দশমিক ০৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ৯৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ১০, মেডিকেল সেন্টারে ১১ দশমিক ১১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭ দশমিক ০৭ এবং ল্যাব এইডে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।