চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ হার কমছে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার কমছে। গত মাসের শেষ দিকে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মৃত্যুশূন্য এদিনে ৫৮০ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত ১৬ ল্যাবরেটরির মধ্যে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর দশ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩ হাজার ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৮০ জনের মধ্যে শহরের ৪১৮ জন ও ১৪ উপজেলার ১৬২ জন। উপজেলার ১৬২ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৩১ জন, রাউজান ও চন্দনাইশে ২১ জন করে, পটিয়ায় ১৬ জন, আনোয়ারায় ১৫ জন, লোহাগাড়ায় ১০ জন, বোয়ালখালীতে ৯ জন, বাঁশখালীতে ৮ জন, মিরসরাইয়ে ৭ জন, ফটিকছড়ি ও সন্দ্বীপে ৬ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, সীতাকু-ে ৪ জন ও সাতকানিয়ায় ৩ জন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় একজন আক্রান্তও মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৫৭২ জনে। এর মধ্যে শহরের ৮৮ হাজার ৬০১ জন এবং গ্রামের ৩২ হাজার ৯৭১ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১৭৫ ও গ্রামের ১৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ১৫ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩৮ জনের নমুনায় শহরের ৫৪ ও গ্রামের ২৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২০ টি নমুনার ১০ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। শহর ও গ্রামে নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২২৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৩০ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৭৭ নমুনার মধ্যে শহরের ৬৭ ও গ্রামের ৩১ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩ জন ও গ্রামের ১৯ জন সংক্রমিত মিলে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯৭ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২২ ও গ্রামের ১৫ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩২৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩৭ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ল্যাব এইডে পরীক্ষিত ২ নমুনার ২ টিরই পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১৮ ও গ্রামের ৭ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২২৫ টি নমুনায় গ্রামের ৫ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যায়।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩১ দশমিক ৮১ শতাংশ, চবি’তে ১৯ দশমিক ৬৮, সিভাসু’তে ৩৪ দশমিক ০৩, আরটিআরএলে ৫০, এন্টিজেন টেস্টে ১৩ দশমিক ২১, শেভরনে ২০ দশমিক ৫৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২ দশমিক ২১, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১২ দশমিক ৪৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ দশমিক ৪৫, ল্যাব এইডে শতভাগ, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২ দশমিক ২২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।