চট্টগ্রামে নতুন ৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৭৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৫ জন ও চার উপজেলার ৬ জন। এর মধ্যে আনোয়ারায় ৪ জন, হাটহাজারীতে ২ জন এবং সীতাকু- ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৫৭৮ এবং গ্রামের ৭ হাজার ৩৯২ জন।
গতকাল করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৭০ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৯ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪৭ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৪২৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৪ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৭ হাজার ৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১৩ জন, ছাড়পত্র নেন ২৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৩৪ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গত ১৩ দিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে থেকেছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি এ মাসে একবারই শতক পেরিয়ে (১০৮ জন) যায়। এর আগে ১২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা ১৯ দিন করোনা ভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয়। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যুও হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। করোনাকালের সর্বনিম্নের রেকর্ডটিও এ মাসে (৬ ফেব্রুয়ারি)। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩২৩ জনের নমুনার মধ্যে ১৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১০১ টি নমুনার মধ্যে ৬ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ^াবদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৯ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৯ জনের নমুনায় ২ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ টি, শেভরনে ৬৩ টি নমুনার মধ্যে ১৪ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১ টি নমুনায় ৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ৫০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১১ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ২৬, সিভাসু’তে ৫ দশমিক ৯৪, চবি’তে ১২ দশমিক ৮৬, আরটিআরএলে ২২ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ৭৩, শেভরনে ২২ দশশিক ২২ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।