চট্টগ্রামে নতুন ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এদিন করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৩ ও গ্রামের নতুন ৪ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হয়। গ্রামের ৪ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, মিরসরাই ও লোহাগাড়া উপজেলার আওতাধীন এলাকার একজন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৪০৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ৯৪ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩১৫ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দু’টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেকহা) ল্যাবে ৬৬ নমুনায় শহরের একটিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৭৮ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পরীক্ষিত ১৮৭ নমুনায় গ্রামের দু’টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।

এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৩৪, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২১, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৪৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ ও ল্যাব এইডে একজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবে সর্বমোট ৪৩৯ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনের শরীরেও করোনার জীবাণু মিলেনি।

তবে এদিন মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪৭, চমেকহা’য় ১ দশমিক ৫১, সিভাসু’তে ৭ দশমিক ৬৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। এছাড়া, চবি, আরটিআরএল, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ হার পাওয়া যায়।