আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নৌপথে যাত্রীদের যাতায়াত সুষ্ঠু এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এ মনিটরিং টিম আগামী ২১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নৌ-নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, নৌপথে যাত্রী পারাপারে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই অবহেলা সহ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা নেই। সঠিক মনিটরিং অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে বলে আমি মনে করি।
সভায় হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, নৌযানের ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করা যাবে না, যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য ঘাট ও তার আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকা, নৌ-ডাকাতি ও জলদস্যুতা রোধে সতর্ক থাকা, সন্দ্বীপগামী জাহাজগুলোকে সার্বক্ষণিক সচল এবং ঈদের পূর্বেই দ্রুত মেরামত করা, নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী যাতে নৌযানে না উঠে তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সকাল ৮টার মধ্যেই ঘাটে অবস্থান করা, যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য নৌযানগুলোতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, অনুমোদিত নৌযান ছাড়া অন্য নৌযানে যাত্রী পারাপার না করা, সার্বক্ষণিক সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা, কোনো অবস্থাতেই সাড়ে ৬টার পর সাগরে নৌযান চলাচল না করা, চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া পর্যন্ত সিগন্যাল বাতি সার্বক্ষণিক সচল রাখা, স্পিডবোটের তালিকা সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড এবং মিরসরাই থানায় সংরক্ষণ করা, যাত্রীদের সুবিধার্থে ফেরিঘাটসমূহে ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন উল্লেখযোগ্য।
এসব বিষয়াদি পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং টিম আগামী ২১শে জুন থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এলাকার ঘাটসমূহ পরিদর্শন করবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিসি, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, নৌযান বোট মালিক সমিতির প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ৩টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৩ জুন ২০১৭