চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পায়ের নিচে চাপা পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে নিহতের স্বজন। প্রশাসনের আদেশে চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে ৪ দিনের শোক।
গতকাল মঙ্গলবার মানুষের ভিড়ে চাপা পড়ে নিহত হয় মোট ১০ জন। আহত প্রায় অর্ধ শতাধিক। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নগরীর জামালখান এলাকার রীমা কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল সোমবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নিহত ঝন্টু দাশের ভাই অরুন দাশ চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানের আয়োজন করা হয়েছিল। জামালখান আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজনটি ছিল হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য।
কমিউনিটি সেন্টারটির ঢোকার পথ ঢালু। আর গেইটে অপেক্ষমান ছিল অসংখ্য মানুষ। গেটে ঢোকার সময় চাপ সামাল দিয়ে না পেরে পড়ে যান বেশ কজন। এরপরই ঘটে পদদলনের দুর্ঘটনা।
পদদলিত হয়ে মারা যান ঝন্টু দাশ, কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ, প্রদীপ তালুকদার, লিটন দেব, ধনা শীল, টিটু, দুলাল, সুবীর দাশ, দীপঙ্কর দাশ রাহুল ও আশিষ বড়ুয়া। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
ঘটনার পরপরই হাসপাতালে আসেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল। পুলিশের দাবি, নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল না। ঢোকার সময় হুড়োহুড়ির কারণেই এই প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে এক লাখ করে টাকা। পাশাপাশি, নিহতদের ২৫ হাজার ও আহতদের ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে নগরীর মেহেদিবাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আজকের বাজার: আরআর/ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭