চট্টগ্রামে টানা পাঁচদিন পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হার ১ শতাংশের বেশি হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। আক্রান্তের হার ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো রিপোর্টে এসব তথ্য মিলে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর তেরোটি ল্যাবে শনিবার ৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭ জন ও দুই উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ায় ২ জন ও বোয়ালখালীতে ১ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৪ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৬৭ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২৭ জন। এ দিনে করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার পাওয়া গিয়েছিল গত ৬ মার্চ, ১ দশমিক ০৮ শতাংশ। এরপর পাঁচদিন ১ শতাংশের নিচেই ছিল আক্রান্তের হার। এ সময়ে সর্বনি¤œ হার নির্ধারণ হয়, ৯ মার্চ ০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে শনিবার সবচেয়ে বেশি ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়।
সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩০ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত একমাত্র নমুনাটির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৭ টি ও ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬ টি এবং এন্টিজেন টেস্টে একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৪ টি নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে এপিক হেলথ কেয়ারে ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। ল্যাব এইডে একমাত্র নমুনাটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ টি নমুনায় শহরের একটিতে করোনার জীবাণু মিলে। এছাড়া, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৫ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৮১ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। পাঁচটি ল্যাবে পরীক্ষিত ২৬৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আরটিআরএলে শতভাগ, শেভরনে ০ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ৩৩, ল্যাব এইডে শতভাগ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ শতাংশ এবং চবি, সিভাসু, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ।