চট্টগ্রামে ১০ জনের করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে এ সময় করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে জানা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল শনিবার ১ হাজার ২৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৬ ও তিন উপজেলার ৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন, ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৩০১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৬ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৮৫ জন।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে শহরের একজন পজিটিভ শনাক্ত হন। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩২৭টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ১৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৩ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩টি নমুনায় গ্রামের ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৩ এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি করে আক্রান্ত পাওয়া যায়।
এদিকে, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩০৫, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৮২, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি মা ও শিশু হাসপাতালে ১২৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬ এবং ল্যাব এইডে একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৫২৩ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের একটি নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, সিভাসু’তে ১৫ দশমিক ৩৮, এন্টিজেন টেস্টে ১৭ দশমিক ৬৪, শেভরনে ০ দশমিক ২৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৬১, মেডিকেল সেন্টারে ১ দশমিক ৮৮ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ১৪ এবং বিআইটিআইডি, চমেকহা, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল,  ল্যাব এইড এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।