চট্টগ্রামে ১২ উপজেলায় করোনার নতুন কোন রোগি নেই

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে ১২ উপজেলায় নতুন কোনো রোগি শনাক্ত হয়নি। নগরী ও অবশ্ষ্টি ২ উপজেলায় ২৫ জনের নমুনায় ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর আটটি ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ২১ ও দুই উপজেলার ৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীতে ২ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১ হাজার ৮৫০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৭৫০ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ১শ’ জন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০৪ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২০ ও গ্রামের ৫৮৪ জন। করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ২৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৮৮৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৯৩ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৬ হাজার ২৯২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১০৩ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৫৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৪ জনের নমুনায় গ্রামের একজনসহ ৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড- ১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ টির পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ২ জন পজিটিভ বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৫৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬৩ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৫ নমুনায় শহরের একটি ও এপিক হেলথ কেয়ারে ২১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। অপর বেসরকারি ক্লিনিক ল্যাব এইডে একটি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের একমাত্র নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এ দিন চট্টগ্রাম ভেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ৯৫, চবিতে ১২ দশমিক ৮২, আরটিআরএলে ২২ দশমিক ২২, এন্টিজেন টেস্টে ১ দশমিক ৬২, শেভরনে ০ দশমিক ১৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ০৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ দশমিক ৭৬, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।