চট্টগ্রামে ১৩১ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৩১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময় করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৬৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ১৩১ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১১১ জন এবং নয় উপজেলার ২০ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ৩০৯ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮ হাজার ৬১১ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৬৯৮ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ২০ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৭ জন, সীতাকু-ে ৪ জন, ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাউজান, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৭৯ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২৭৮ জন শহরের ও ১০১ জন গ্রামের বাসিন্দা। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৬৮ জনকে। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৯৩০ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন ৪ হাজার ৫শ’ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য হন ২৮ হাজার ৪৩০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ২৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯৭৬ জন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১২ দিনের মধ্যে আট দিন শনাক্ত রোগী একশ’ ছাড়িয়েছে। এ সময় ৪ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছিল ৬ মার্চ, ৬৩ জন। অথচ, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ দিন আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। জানুয়ারি মাসেও ২০ দিন শনাক্ত রোগী একশ’র নিচে ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে সীতাকু-ের ৪ জন এবং চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার ২ জনসহ ২৬ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৪৮ জনের নমুনার মধ্যে ফটিকছড়ি ও চন্দনাইশের ২ জনসহ ৩৬ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬২টি নমুনার মধ্যে হাটহাজারীর ৭ ও রাউজানের ১টিসহ ২১টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০১টি নমুনা পরীক্ষা করে ফটিকছড়ির ১টিসহ ১৭টি, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৫৯টি নমুনার মধ্যে পটিয়া ও আনোয়ারার ২টিসহ ২৩টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১২টি নমুনায় নগরীর ৬টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রামের ১১৫টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় বাঁশখালীর ১টি ছাড়া অবশিষ্ট সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। তবে, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৫৭, চবি’তে ৩৩ দশমিক ৮৭, শেভরনে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ৩৮ দশমিক ৯৮ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশুতে ৫০ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।