চট্টগ্রামে ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট এবং ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সাত ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭ জন ও উপজেলার ৬ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৪২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৯৫ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৪৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারায় ৩ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে একজন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু ঘটেনি। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৫৫৯ নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামে ২টি করে পজিটিভ পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের দুইটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের এক ও গ্রামের ৩ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫২টি নমুনায় শহরের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনের দেহে জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৯ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তিন ল্যাবে পরীক্ষিত ৩৭০টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয়, বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
এদিন ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ৭১, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৫৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ দশমিক ৯১, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। অন্যদিকে, চমেকহা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে আক্রান্তের হার ছিল ০ শতাংশ।