চট্টগ্রামে ২৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আড়াইশ’র বেশি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৫৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১৩ জন এবং ১২ উপজেলার ৪২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৮ হাজার ৭৫৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩০ হাজার ৭৪৫ জন ও গ্রামের ৮ হাজার ১০ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৪২ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ১০, পটিয়ায় ৭ জন, বোয়ালখালীতে ৬ জন, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি ও সীতাকু-ে ৩ জন করে, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং চন্দনাইশ ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৮৪ জনই রয়েছে। এর মধ্যে ২৮১ জন শহরের ও ১০৩ জন গ্রামের। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৫৫ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭২২ জনে উন্নীত হলো। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪ হাজার ৫৭৭ জন এবং বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় আরোগ্যলাভ করেন ২৯ হাজার ১৪৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩০ জন । ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ১১৯ জন।
উল্লেখ্য, গতকালসহ টানা পাঁচ দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশ অতিক্রম করলো। এর মধ্যে ২২ মার্চ চট্টগ্রামে গত সাড়ে তিন মাসের সর্বোচ্চ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। এদিন ১ হাজার ৯৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭২ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ছিল ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সংখ্যা ও হার দু’ক্ষেত্রেই এ সময়ের মধ্যে এটা ছিল একদিনের সর্বোচ্চ। একই দিন জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার অতিক্রম করে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ৬ জনসহ ৪৫ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪২৯ জনের নমুনায় গ্রামের ৬ জনসহ ৩৪ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১০ জনের নমুনায় গ্রামের ১২ জনসহ ৫৫ জন আক্রান্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ২০ ও গ্রামের ১৩টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৩২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়। এতে গ্রামের ২ জনসহ ১৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ইম্পেরিয়ালে গ্রামের ২ জনসহ ৫৩ এবং মা ও শিশুতে গ্রামের ১ জনসহ ১৮ জনের শরীরে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে।
চট্টগ্রামের ২৪টি নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক ৯২, সিভাসু’তে ২৬ দশমিক ১৯, চবি’তে ২৪ দশমিক ০৯, আরটিআরএলে ৫৩ দশমিক ১২, ইম্পেরিয়ালে ৪১ দশমিক ৭৩ এবং মা ও শিশুতে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।