চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহ মীরপুরে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলামত সংগ্রহ ও মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের আংশিক ব্যর্থতা ছিল বলে স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার হারুন অর রশিদ হাজারী।
সোমবার ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে কর্ণফুলী থানা মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন বন্দর জোনের এ উপকমিশনার। এ সময় থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ব্যর্থতার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোস্তাফার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়।
উপকমিশনার হারুন অর রশিদ হাজারী বলেন, চার নারী প্রথমে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেননি। পরে পুলিশের তদন্তে এ ঘটনা বের হয়ে এসেছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চাতুরি চৌমুহনী এলাকা থেকে ইমতিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বড় উঠান শাহ মীরপুর এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর মো. সুমন ওরফে বাবু ও ফারুক মাহমুদ নামের দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়ির গ্রিল কেটে ডাকাতি করতে গিয়ে ডাকাতরা একই পরিবারের তিন পুত্রবধূ ও এক কন্যাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে গড়িমসি করে। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের হস্তক্ষেপে পুলিশ এক সপ্তাহ পর মামলা গ্রহণ করে। এরপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রামে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে সুশীল সমাজ।
আজকের বাজার: এলকে/ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭