চট্টগ্রামে ৬ জন শনাক্ত, একজনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে নতুন ৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময় মারা গেছেন ১ করোনা রোগি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৬ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ৫ জন এবং আনোয়ারা উপজেলার একজন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৮ জনে পৌঁছালো। সংক্রমিদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৬৫ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত গ্রামের ১ রোগির মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩৩১ জন। এর মধ্যে ৭২৩ জন শহরের ও ৬০৮ জন গ্রামের।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে কোনো জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৩ নমুনায় শহরের একজনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৬ নমুনার মধ্যে ৩ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫ নমুনায় শহরের একটিতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫, বেসরকারি ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৭৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৩ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবে ৮৪০ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এ দিন, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চমেকহা’য় ২ দশমিক ৩২, এন্টিজেন টেস্টে ৯ দশমিক ০৯, আরটিআরএলে ৫০ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ শতাংশ এবং বিআইটিআইডি, চবি, শেভরনে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।