চট্টগ্রামে ৯২ জন করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে নতুন ৯২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময় আক্রান্ত কোনো রোগী মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৯২ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮২ জন এবং চার উপজেলার ১০ জন। উপজেলা পর্যায়ে হাটহাজারী ও পটিয়ায় ৪ জন করে এবং রাউজান ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৮৯ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ৯০৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৫৮৫ জন।
পরীক্ষার এ সময় করোনায় কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭৬ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৭৫ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৭১ জন। এ সংখ্যা বেড়ে ৩২ হাজার ৫১৬ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৫৬ জন এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসায় সুস্থ্যতার পর ছাড়পত্র পান ২৮ হাজার ৬০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন। ছাড়পত্র পান ৩০ জন। বর্তমানে ৯৫৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এর মধ্যে নগরীর ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৭৬ জনের নমুনায় গ্রামের ৪ জনসহ ৩৬ জনের শরীরে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৭টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৪টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন।
নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবের মধ্যে শেভরনে ১৩৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শেভরনে ২১ জন ও অপর দুই ল্যাবে ৯ জন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়। এ সময়ে চট্টগ্রামের ১ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় এটির ফলাফর নেগেটিভ হয়।
তবে, এদিন জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে কারো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক ৫৬, চবি’তে ১৪ দশমিক ৮১, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৫২, শেভরনে ১৫ দশমিক ৫৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩১ দশমিক ০৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।