অবৈধভাবে জ্বালানি তেল সংগ্রহের অভিযোগে পানামার পতাকাবাহী একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড একই সাথে অনুনোমোদিতভাবে জ্বালানী সরবরাহের অভিযোগে বাংলাদেশি একটি অয়েল ট্যাংকার ও ৯ ক্রু-কে আটক করেছে।
কোস্টগার্ড সুত্র জানিয়েছে, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বহির্নোঙরে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জ্বালানী তেল সংগ্রহের অভিযোগে কুতুবদিয়া উপকূল থেকে জাহাজটি আটক করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল হক জানান, গত শনিবার বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’ কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে নিয়মিত টহলে ছিল।
এ সময় কোস্টগার্ড দেখতে পায় যে, কুতুবদিয়ার বহির্নোঙ্গরে পানামার পতাকাবাহী ‘এমটি ডলফিন-১৯’ নামের একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ অপর একটি বাংলাদেশি ওয়েল ট্যাংকার ‘ওটি ইউনিয়ন’ থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছিলো।
কোস্ট গার্ডের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক হলে কোস্টগার্ড দুই জাহাজের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় জাহাজদ্বয় বহির্নোঙরে অবস্থান করা ও জ্বালানি তেল সংগ্রহের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
ফলে অবৈধভাবে জ্বালানি সংগ্রহের অভিযোগে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯ কে আটক করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশী তেল প্রদানকারী জাহাজটিকেও জাহাজের ৯ ক্রুসহ কোস্টগার্ডের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশি ওয়েল ট্যাংকার থেকে আনুমানিক ৩৫৬ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে বিদেশী জাহাজটি। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কোস্টগার্ড বিদেশি জাহাজটিকে আটক করে চট্টগ্রাম বহির্নোঙরে নিয়ে এসেছে। জ্বালানি তেল প্রদানকারী বাংলাদেশি ওয়েল ট্যাংকারটি বর্তমানে ৯ জন ক্রুসহ কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
সুত্র জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেরিন কোর্টের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি জাহাজ দু’টিকে জরিমানাসহ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। (বাসস)