চলতি অর্থ বছরে কৃষি ও পল্লী ঋণে বরাদ্দ ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা

কৃষিকাজ ছাড়াও পোলট্রি শিল্প, দুগ্ধ উৎপাদন, কৃত্রিম প্রজনন ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য দেশের ব্যাংকগুলো চলতি অর্থ বছর অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বরাদ্দ রেখেছে।

বুধবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণের বার্ষিক নীতিমালার সময় এ তথ্য জানানো হয়।

এ নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নীতিমালায় বলা হয়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে তুলনায় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বাংকগুলোর স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেট ঋণ ও অগ্রীমের ২ শতাংশ হারে হিসাবায়ন করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

কৃষি ও পল্লী ঋণের এ লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারিখাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।

এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করবে।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্যখাতে, ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণি সম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।

এদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা । যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বর্তমানে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণ পাচ্ছেন কৃষকরা।

আরএম/