‘চাকরির জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই’

দেশের যুবসমাজকে চাকরির জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, আইটি সেক্টর তাদের দেবে অবারিত সুযোগ।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিপিও সামিট-২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ৭ বছর আগে বিপিও সেক্টরে লোকবল ছিল মাত্র ৩০০। বর্তমানে এ সেক্টরে ৪০,০০০ লোক কাজ করছেন। ভারত ও ফিলিপাইন এ সেক্টর থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। বিপিও সেক্টরে সারা পৃথিবীতে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দখল করতে পেরেছে মাত্র ১৮০ মিলিয়ন ডলার। সরকার ২০২১ সাল নাগাদ আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আশা করা হচ্ছে তার সিংহভাগ আসবে বিপিও থেকে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী প্রমুখ।

জয় বলেন, আমরা এক সময় কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভর করে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের অর্থনীতি প্রযুক্তি নির্ভর হতে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৬ লাখ রেজিষ্টার্ড ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব।

তিনি বলেন, আমরা যখন `ডিজিটাল বাংলাদেশ` নামকরণ করে কাজ শুরু করি তখন পৃথিবীর অনেকে এটা কল্পনাও করে নাই। কিন্তু আমাদের এক বছর ব্রিটেন ও ছয় বছর পর ভারত এ কনসেপ্ট গ্রহণ করে।

জয় আরও বলেন, আমরা একসময় `ডিজিটাল বাংলাদেশ` কনসেপ্ট নিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের এখন কনসেপ্ট হলো, `সৃজনশীল অর্থনীতি`। মার্কিন অর্থনীতিতে তাদের মোট জিডিপির ৬০ ভাগ আসে সৃজনশীল অর্থনীতি থেকে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এ সময় তথ্য প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতের বয়স মাত্র ১৪ বছর। ভারত প্রোগ্রামিং সেক্টরে আশি বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। আমরাও এ খাতে এক সময় নেতৃত্ব দেবো।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে ব্রডকাস্টিং থাকবে না।

উল্লেখ, বিপিও মানে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং। টেলিকমিউনিকেশন, ব্যাংক, ইন্সুরেন্স, হাসপাতাল, হোটেলের ব্যাক অফিসের কাজ, এইচআর, আইটি, অ্যাকাউন্ট সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। এসব কাজ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করার বিষয়টি সাধারণত বিপিও বলে পরিচিত।

এস/