চাপ নেই ফিরতি যাত্রায়

কোরবানীর ত্যাগ আর ঈদের আনন্দ পরিবার পরিজনের সাথে মিলেমিশে ক’টা দিন ভালোই গেল-এমন মন্তব্য রাজধানীমুখি নগরবাসির। ছুটি শেষ ফিরতে হবে চিরচেনা কর্মব্যস্ত নগরজীবনে। আর তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইট-পাথরের নগরীতে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সরকারী ছুটি শেষে দ্বিতীয় কর্মদিবসেও সকাল থেকে বাস-ট্রেন-লঞ্চে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় ফিরছেন অনেকে। তবে যাত্রীদের চাপ চোখে পড়ার মতো নয়। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ,তবে আগামী কয়েকদিন যাত্রীর চাপ থাকবে বেশি।

এবার অতি বর্ষণে দেশের সড়ক মহাসড়কগুলো নাজুক অবস্থা হওয়ায় সড়ক পথের চেয়ে ট্রেনই প্রথম পছন্দ ছিল ঘরমুখো মানুষের। ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিড় ও টিকিট প্রাপ্তিতে বিড়ম্বনা থাকলেও ঢাকায় ফেরার সময় নেই তেমন ঝামেলা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসা ট্রেনগুলো আজ মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়েই কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে। দুই একটি ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব হলেও যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই রাজধানীতে ফিরেছে কর্মজীবী মানুষ।

উত্তরাঞ্চল থেকে আসা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মঙ্গলবারও এক ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছে। দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেসটি তার নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে কমলাপুরে। নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম থেকে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি ট্রেনগুলো যথাসময়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে।

সড়ক পথে উত্তরাঞ্চলে রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকায় ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই ফিরছেন ট্রেনে। স্বাচ্ছন্দে ঢাকায় পৌঁছাতে পেরে তারা খুশিও বটে।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যাত্রীরা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই কমলাপুরে এসে পৌঁছছে। ট্রেনগুলোও স্টেশনে এসে পৌঁছাচ্ছে সময় মতোই। রেলের সীমিত সম্পদ দিয়েই আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া চেষ্টা করছি।

এদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথেও শুরু হয়নি ঢাকামুখী মানুষের চাপ। মঙ্গলবার ভোর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে প্রায় একশ লঞ্চ ভিরেছে, যাত্রীদের তেমন একটা চাপ না থাকায় অনেকটা স্বস্তিতেই ফিরছেন তারা।

সকাল থেকে সদরঘাটে একের পর এক ভিড়ছে লঞ্চগুলো। সদরঘাটে নেমেই যাত্রীদের কেউ কর্মস্থলে, আবার কেউ কেউ তাদের নিজ নিজ বাসায় ফিরছেন। লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪টি রুটে ৯০ থেকে ৯৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদের আগের দিন থেকে বিআইডব্লিউটিএ, লঞ্চ মালিক সমিতি বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে।

অপরদিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো গাবতলীর টেকনিক্যাল মোড়ে এসে থামছে। সেখান থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এ পথে পলাশবাড়ীর পর থেকে মহাসড়কের অবস্থা একেবারে নাজুক। তারপরও ইট দিয়ে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। গাড়িগুলো আসছে, তবে গতি অনেক কম হওয়ায় ঢাকায় পৌঁছতে সময় লাগছে বেশি।

অন্য দিকে রাস্তায় তেমন যানজট না থাকয় পূর্বাঞ্চলের গাড়িগুলো সায়েদাবাদে এসে পৌঁছাচ্ছে সময় মতোই। এছাড়া কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামের যাত্রীরা সকাল থেকেই আসছেন ঝামেলামুক্তভাবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭