চামড়ার সরবহরাহ বাড়লেও কমছে রপ্তানি

প্রতিবছরই বাড়ে চলেছে চামড়ার সরবরাহ। এবে কমছে রপ্তানির পরিমান। ২০১৬ লে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল দেড়শো কোটি ডলার। গত বছর তা কমে ১০৮ কোটি ডলার আর চলতি বছরে রপ্তানি কমে ১০০ কোটির নিচে নেমে আসবে বলে আশংকা ব্যবসায়ীদের।

বিপরীতে প্রতি বছরই দেশে চামড়ার সরবরাহ বাড়ছে ৫ থেকে ৭ শতাংশ করে। সরবরাহ আর রপ্তানির বিপরীতমুখী এ চরিত্রের কারণে বাড়ছে অবিক্রিত চামড়ার পরিমাণ। যার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারে চামড়ার দামে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চামড়ার সরবরাহ এবং রপ্তানির মধ্যে ভারসম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে প্রতিবছর দেশের বাজারে চামড়ার দাম কমছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে- দেশের ট্যানারিগুলোর সক্ষমতা নিয়েও।

এ অবস্থায় উদ্বৃত্ত লবনযুক্ত কাঁচা চামড়ার ও প্রাথমিক প্রক্রিয়া করা ওয়েট ব্লু রপ্তানির অনুমোদন দিলে, বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশবান্ধব শিল্প নগরী গড়ে তুলতে না পারলে, সম্ভাবনায় এ শিল্পকে তুলে আনা সম্ভব হবে না বলেই বিশ্লেষন তাদের।

দেশের বাজারে চামড়ার নায্য দাম নিশ্চিত করতে, উদ্বৃত্ত চামড়ার বিকল্প বিপণন ব্যবস্থা তৈরির পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা থাকলেও পুরো চামড়া রপ্তানি করার সক্ষমতা তাদের নেই। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সামর্থ্য থাকলেও রপ্তানির সামর্থ্য তাদের নেই। বিশেষ করে ভাবমুর্তি আর পরিবেশগত বিষয়ে উন্নয়ন না হলে এ রপ্তানি বাড়ানো কঠিন হবে।