চাল পেয়াজের দরে উর্ধ্বগতি, সবজিতে স্বস্তি

ছবি : ইন্টারনেট

লাগাম টেনে ধরে রাখা যাচ্ছেনা চাল পেয়াজের দরে। রাজধানীর পাইকারি বাজারে আবারো বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম।পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আদা পেঁয়াজের দর। আড়তদারদের অতি মুনাফা আর বাড়তি মজুতদারির কারণেই চালের দাম কমছে না বলে দাবি পাইকারদের। তবে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে প্রায় সব ধরণের সবজি ও রসুৃনের দর কম থাকার কারণে।

পাইকারি পর্যায়ে রসুন আর আলুর দাম কমলেও ৩ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। এদিকে মসলার বাজার কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের ডালের দাম। তবে হঠাৎ করেই বেড়েছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দর। রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা বেড়ে ৫শ’ ১০ টাকা আর ২ থেকে তিন টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৩ টাকায়।

গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানীর চালের বাজারে নেই তেমন কোন স্বস্তির খবর। সপ্তাহ ব্যবধানে সবধরনের চালের দাম এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে । শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক হওয়ারও কোন সুখবর নেই পাইকারদের কাছে। তবে বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি মিল পর্যায়ে মনিটরিং করলে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী হারুন জানান, ‘যে মিনিকেট বিক্রি করেছি ৩ হাজার টাকা আজ সেটা বিক্রি করছি ৩ হাজার ৬৫ টাকা। ২৫ বিক্রি করতাম আড়াই হাজার টাকা সেটা আজ বিক্রি করছি পঁচিশ’ পঞ্চাশ টাকা।’

জানা গেছে ‘বর্তমানে অটোরাইসমিলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যে পরিমাণ ধানের প্রয়োজন সেটা বাজারে নেই। প্রতিযোগিতা করে ধান কিনে এই মিল মালিকরা। এতে ধানের দাম বেশি হয়। এতে করে চালের দামও বেড়ে যায়। এটা যদি সরকার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার তাহরে বাজার শিথিলই থাকবে।’

মসলার বাজারে জিরা আর এলাচের দাম কিছুটা বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে সবধরনের ডালের দাম।

আজকের বাজার : এমআর/আরএম/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮