রামপুরার ডেল্টা হেলথকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদি বিন শামসসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারের প্রবেশ পথের সিঁড়িতে চিকিৎসার অভাবে রিকশাচালক ইসমাইলের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ডেল্টা হেলথকেয়ার হাসপাতালের মার্কেটিং অফিসার হাসান মিয়া, মেইনটেনেন্স বোরহান উদ্দিন, সিকিউরিটি গার্ড ইসমাইল ও নাজিম উদ্দিন।
তাদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও)। অপর দিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ভিকটিম ইসমাইল (৪৬) ঘটনার দিন ১৯ জুলাই বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারের প্রবেশ পথের সিঁড়িতে পড়েছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে গেলেও তাকে কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে তিনি বিনা চিকিৎসায় সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। অভিযান চালিয়ে এই পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ঘটনার সময় ডেল্টা হেলথ কেয়ারে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা ইসমাইলকে কোনো প্রকার প্রাথমিক চিকিৎসা দেননি।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইসমাইল আলী গুলিবিদ্ধ হন। মামলার আসামিদের অস্ত্রের মহড়ার কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি। স্ত্রী লাকি বেগম হুমকির কারণে লাশটা পোস্ট মর্টেম করতে পারেননি। এ ঘটনায় লাকি বেগম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (বাসস)