রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।খবর: বাসস।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের সাথে পরিচিত হতে এবং তা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োগ ঘটাতে দেশে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে আরো উদ্যোগী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’
রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক স্টাফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার একমাত্র প্রতিষ্ঠান এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকে এ দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর গবেষণা এবং চিকিৎসা সেবায় এটি অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপুল অবদান রাখায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশ পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি কেড়েছে।
তিনি বলেন,গবেষণা, নতুন রোগের কারণ ও চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এজন্য দেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাক্ষেত্রে সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের একমাত্র উচ্চতর প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সে প্রত্যাশা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন,চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় ন্যূনতম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহযোগী স্টাফ নিয়োগ দিয়েছে। বৃদ্ধি করেছে চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও। বিদ্যমান সুবিধাদির পরিপূর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সকলকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে মানবতার কল্যাণে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উচ্চতর গবেষণাসহ জনগণকে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি মডেল প্রতিষ্ঠান। তাই ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে দেশে-বিদেশে এটি প্রতিষ্ঠিত হোক-জাতি তা প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘সেই স্বপ্ন পূরণে চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আমি সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাই’।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিসহ ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার সাফল্য কামনা করেন।
আরজেড