অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান গঠিয়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারী চুড়ান্ত করতে যাচ্ছে ডিএসই।
শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট করতে তারিখ নির্ধারণ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।আগামীকাল বিকাল ৫টায় রাজধানীর হোটেল লা-মেরিডিয়ানে এই চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে ডিএসই কতৃপক্ষ।
ডিএসই সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।
গত ৩ মে বিএসইসির ৬৪৩ তম কমিশন সভায় এ চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে ডিএসইকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় ডিএসইর প্রস্তাবিত চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করতে শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ১২৫টি শেয়ার প্রতিটি ২১ টাকা মূল্যে ‘শেয়ার ক্রয় চুক্তিপত্র’ অনুমোদন করা হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে প্রধান ৩টি হলো-
১। এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন ও দেশের প্রযোজ্য অন্যান্য আইনসহ এক্সচেঞ্জস ডিমিউচ্যুয়ালইজেশন আইন, ২০১৩ এবং ডিএসইর ডিমিউচ্যুয়ালইজেশন স্কিম অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে।
২। এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চুক্তি সইয়ের পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করে কমিশনকে অভিহিত করতে হবে।
৩। কমিশনের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত চুক্তির শর্তাবলী ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি পরিবর্তন করা যাবে না।
এর আগে গত সোমবার বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) চীনের প্রস্তাব ডিএসইর শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন। ওই দিনই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেতে প্রস্তাবটি বিএসইসিতে পাঠানো হয়।
চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব প্রথমে অনুমোদন না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল বিএসইসি। সে সময় কিছু শর্ত দিয়ে ডিএসইকে আবার প্রস্তাব পাঠাতে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তাতে বলা হয়, এই শর্তগুলো পরিপালন করে সংশোধিত প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করা যেতে পারে-
১। শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে (এসপিএ) এমন কোনো শর্ত রাখা যাবে না যা স্থানীয় আইনের সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি ডিএসইর সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট উন্নয়নে বিরুদ্ধে না যায়।
২। এমন কোনো প্রস্তাব রাখা চলবে না যা পরিপালন করতে ডিএসইর বিদ্যমান মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন সংশোধন করতে হয়।
৩। এসপিএসহ কৌশলগত ইস্যু চূড়ান্ত করে কমিশনে জমা দেওয়ার আগে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে হবে।
৪। কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ডিএসইর সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে।
৫। ডিএসইর সাধারণ সভার সিদ্ধান্তপত্র, এসপিএসহ কনসোর্টিয়ামের অন্যান্য কাগজাদি নিয়ে কমিশনে চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে।
আজকের বাজার/জাকির/আরআইএস