ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় করোনার পরীক্ষায় ব্যবহৃত চীনের তৈরি প্রায় পাঁচ লাখ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আমদানির আদেশ বাতিল করেছে ভারত। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজ্যে কিটের ব্যবহার শুরু হলেও এগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে নয়া দিল্লি।
বিবিসি জানিয়েছে, মাত্র ৩০ মিনিটে এই কিটের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা যায়। সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তে থাকা অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পারে এটি ।
অবশ্য ত্রুটিপূর্ণের অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেছেন, ‘রপ্তানিকৃত চিকিৎসা সামগ্রীর বিষয়ে চীন ব্যাপক গুরুত্ব দেয়। কোননো ব্যক্তির জন্য চীনা পণ্যকে সামগ্রিকভাবে ‘ত্রুটিপূর্ণ' বলে আখ্যা দেওয়াটা অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।’
করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য কিট ব্যবহার করতে ভারতীয় রাজ্যগুলো ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (আইসিএমআর) ওপর চাপ প্রয়োগ করছিল। কিটের ব্যাপারে আইসিএমআর প্রথমে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও পরে দুটি চীনা কোম্পানির কাছ থেকে এগুলো আমদানি করা হয়। রাজ্যগুলোতে এই কিট সরবরাহের পরই অভিযোগ আসতে থাকে যে, এগুলোর সঠিক ফল দেওয়ার পরিমাণ ৫ শতাংশ মাত্র। এমনকি যারা করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, কিট ব্যবহার করে সেই রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।
এছাড়া সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে কিট সরবরাহকারী সংস্থা এবং আমদানিকারী সংস্থার মধ্যে একটি মামলায় বলা হয়েছে, দ্বিগুণের বেশি দামে ভারত সরকার এই কিট কিনেছে। এরপরই কর্মকর্তারা এই কিটের আমদানি আদেশ বাতিলের ঘোষণা দেন।