চীনের সর্বোচ্চ নেতা শি জিন পিং

মাও সেতুংয়ের পর চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান নেতা হয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং।

মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার ১৯তম জাতীয় কংগ্রেসে দেশটির সংবিধানে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম যোগ করা হয়েছে।

বিজনেস ইনসাইডারের খবরে জানা যায়, ১৯৩৫ সাল থেকে মাও সে তুংয়ের শাসনকালে ১৯৭৬ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর নাম সংবিধানে লেখা ছিল। শি জিন পিং এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোগ করা হয়েছে একজন জীবিত নেতৃত্বের নাম।

দেশটির গ্রেট হল অব পিপলে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের সমাপনী অধিবেশনে দলের নেতারা শি জিন পিংকে দেশটির ‘মূল’ নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা মাও সে তুংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হত।

সাধারণত চীনের রাষ্ট্রপতিদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে দেশের সংবিধানে যুক্ত করা হয়। সেক্ষেত্রে সংবিধানের ওই তত্ত্বগুলোর শিরোনামে শুধুমাত্র মাও ও শি জিন পিংয়ের নামই যুক্ত হতে পেরেছে। এই সংশোধনীটি ‘সমাজতন্ত্র নিয়ে শি জিন পিংয়ের চিন্তাধারা, সাথে নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্য’নামে পরিচিত। ২হাজার ৩০০জন প্রতিনিধির কংগ্রেসে এ সংশোধনী অনুমোদন করা হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শেষ উত্তরাধিকারীর পর শি জিন পিংই জীবিত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়।

বুধবার কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার সাধারণ সম্পাদক শি জিন পিংয়ের ২০২২ সালের পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সূচকটি বেরিয়ে আসতে পারে। এদিন দলটির নতুন নেতৃত্বও ঘোষণা করা হবে।

যদি শি জিন পিং কোনো কম বয়সী ও অভিজ্ঞ উত্তরাধিকারীকে অনুমোদন না দেন এবং বেসরকারি অবসরের নিয়ম উপেক্ষা করেন তবে তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চাইতে পারেন। চীনের সংবিধানে রাষ্ট্রপতি শুধু দুইবার ৫ বছর মেয়াদী শাসন করতে পারেন।

ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় মেয়াদে অবস্থানের জন্য শি জিন পিং তার দলের সমর্থন নিতে পারেন। অথবা পার্টির সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকায় থেকেই কাজ করে যাবেন। যা আসলে রাষ্ট্রপতির পদ ত্যাগ করাকেই ইংগিত দেয়। তবে, তার দলীয় সমর্থনের সম্ভাবনাই বেশি।

আরো একটি ধারণায় বলা হয়েছে, দলের চেয়ারম্যানের পদ পুনরুজ্জীবিত করাও একটা বিকল্প হতে পারে। যা মাও সেতুংয়ের পর আর ব্যবহার করা হয়নি।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৪ অক্টোবর ২০১৭