চ্যালেঞ্জিং কাজে নারীরা দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ রাখছে : চুমকি

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে এবং চ্যালেঞ্জিং কাজে তারা দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তাদের ক্ষমতায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত ‘অগ্রযাত্রায় অদম্য নারী’ শীর্ষক এক সেমিনার ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ছয় জন বিশিষ্ট নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন- ফোরকান বেগম (মুক্তিযুদ্ধ), চেমন আরা (ভাষা আন্দোলন), লুনা শামসুদ্দোহা (অর্থনীতি), অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার (চিকিৎসা), জোবেরা রহমান লিনু (ক্রীড়া) এবং সহকারি পুলিশ সুপার শাহেদা সুলতানা (সাহসিকতা)।

ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, সাবেক সংসদ সদস্য ও যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, পিপ ট্রাস্টের নির্বাহি পরিচালক অ্যারোমা দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু এবং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন সাংবাদিক শরীফা বুলবুল।

প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে নারীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বর্তমানে নারীরা যোগ্যতার সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। নারী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দোষিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে নারী দিবসের অনুষ্ঠানে দুঃখ-বেদনার কথা বেশি শুনতে হতো, এখন নারীর সাফল্য ও কৃতিত্বের কথা বেশি শোনা যায়। এটা অবশ্যই নারীর ক্ষমতায়নের একটি দিক।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাল্য বিয়ে দিন দিন কমছে উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার বাল্য বিয়ে বন্ধ করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ তিনি নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী অধিকার রক্ষা ও নির্যাতন রোধে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকারও প্রশংসা করেন।