এরশাদ আর লাঙ্গলের জন্য অন্তঃপ্রাণ রংপুরের মানুষ সেটার প্রমাণ আবার দেখিয়েছেন তারা। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এরশাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এই নির্বাচনে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফও প্রার্থী ছিলেন। চাচার কথা উপেক্ষা করে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন এরশাদ। ফলে ভোটের লড়াইয়ে তিনি পাত্তাই পাননি। হারিয়েছেন জামানতও। সর্বসাকুল্যে ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৯টি।
জানা যায়, আসিফ এই নির্বাচনে লাঙ্গল পেতে পারিবারিকভাবে অনেক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এরশাদ তার শহরে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন জনপ্রিয় নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে। পরে আসিফ বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।
গত ৮ ডিসেম্বর ভাতিজা আসিফকে দল থেকে বহিষ্কার করেন দলীয় প্রধান এরশাদ। তবে আসিফ বলিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী ছিলেন তাকে নগরবাসী বাছাই করবে। তিনি বলেছিলেন, ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনে মার্কা কোনো ফ্যাক্টর হবে না। জাপার প্রার্থীর অবস্থান দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঝন্টুর সঙ্গে।
তবে নির্বাচনে তার এই বিপুল পরাজয়ে তিনি অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন। ফল ঘোষণার পর তিনি কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না। তাকে এখন ফোনেও পাচ্ছেন না সাংবাদিকরা।
এরশাদের ছোট ভাই প্রয়াত মোজাম্মেল হোসেন লালুর ছেলে শাহরিয়ার আসিফ। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি রংপুর-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে চাচার নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন জাপার এ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি রংপুর জেলা জাপার সদস্য সচিব পদেও ছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আজকের বাজার: এলকে/ ২২ ডিসেম্বর ২০১৭