‘ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আ.লীগের জনসভায়’

স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারাও আওয়ামী লীগের জনসভায় আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ আমরা স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ চাই। সুতরাং আজকে যারা ক্ষমতাসীন দল তারা জনসভা করবে, এখানে কোনো ভিন্ন মত থাকার কারণ নেই।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১২তম কারাবন্দি দিবস ও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই যুব সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।

সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা সভা-সমাবেশ করছে আর আমাদেরকে অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। ৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মার্চের আজকের জনসভা। আমরা জনসভাকে স্বাগত জানাই।

কারণ প্রত্যেক দল তাদের আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা নিয়ে অনুষ্ঠান করবে। আর সেখানে কারো দ্বিমত থাকার কারণ নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে জনসভা করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন এবং জনগণকে জনসভায় ডেকে শপথ গ্রহণ করাচ্ছেন, বলেন আমীর খসরু।

অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিভিন্ন জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে জনগণকে ওয়াদা করাচ্ছেন। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী এবং অনৈতিক কাজ ও ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। আমরা কিন্তু কাউকে শপথ পড়াব না। কারণ আমার ভোট আমি কাকে দিব এটা একটি গোপনীয় বিষয় এবং আমানত। এমনকি আমার স্ত্রীও জানতে পারে না।

আমীর খসরু বলেন, আমরা ১২ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু আজ অবধি সেই অনুমতির কথা জানানো হয়নি। অথচ আমরা দেখছি, আজকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীনরা জনসভার আয়োজন করেছে। গত ১০ দিন ধরে ঢাকা শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। কত কিলোমিটারের মধ্যে সভার মাইক লাগানো হয়েছে। রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চার দিকে ব্যানার আর ফেস্টুন। কিন্তু আমরা তো এসব কিছুই চাই না। কেবল একটি সভার অনুমতি চাচ্ছি। যা আমার সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক, নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে বিএনপি আজকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা খুলনাতে সার্কিট হাউস মাঠে ১০ মার্চ একটি সভার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম তা দেওয়া হয়নি। সেখানকার হাদিস পার্ক মাঠেও অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু এখনো কিছুই জানানো হয়নি। আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে জনসভার জন্য বিএনপি আবেদন করেছে।

আজকেরবাজার/এসকে