ছেলেরা যেসব অজুহাতে সম্পর্ক ভাঙে

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর একটি সম্পর্ক হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসার কাঁধে ভর করেই দাঁড়িয়ে থাকে একেকটি সম্পর্ক। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে স্বপ্ন আর বাস্তবতায় ফারাক হলেই। একটা সময় গিয়ে হয়তো যেকোনো একজনের মনে হয়, এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। শুধু যে ছেলেরাই সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে চলে যায় এমন নয়। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই মেয়েরাও।

ছেলে এবং মেয়ের সম্পর্ক ভাঙার অজুহাত সব সময় দুরকমই হয় এখানে প্রকাশ হয়েছে ছেলেদের কিছু কমন অজুহাত যা সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে।

তাহলে চলুন বুজে নেই সেই অজুহাত।

ব্যস্ততা
সম্পর্কের শুরুতে যে ছেলেটি রাত-দিন ভুলে আপনার জন্য সময় বরাদ্দ রাখতো, সম্পর্ক ভাঙার মূল রহস্য হচ্ছে ব্যস্ততার। তবে সত্যিকারের ব্যস্ততা যে থাকে না, এমন নয়। যদি সে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেও আপনার খোঁজ রাখে, তার কণ্ঠে আপনার সঙ্গে কথা বলার আকুলতা থাকে তবে বুঝবেন সব আগের মতোই আছে। কিন্তু যদি সে ব্যস্ততার অজুহাতে শুধু এড়িয়েই চলতে চায় তবে বুঝবেন, সে আসলে এই সম্পর্ক আর এগিয়ে নিতে চাইছে না। তাই ব্যস্ততা সব সময় ব্যস্ততা নয়, কখনো কখনো ছেড়ে যাওয়ার বাহানাও!

ভবিষ্যৎ
‘আমি আমার কোনো ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না, এই অনিশ্চিত জীবনের সঙ্গে তোমাকে জড়াবো না’ ছেড়ে যাওয়ার জন্য এটিও একটি অজুহাত। কথাটি এমন সময় বলছে, যখন যাকে বলছে সে তার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে থেকে ভবিষ্যৎ দেখা যায় না। তাই যদি সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে তবে কখনোই আপনার হাত ছেড়ে দেবে না। বরং আপনাকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ গড়বে।

যোগ্যতা
ছেড়ে যাওয়ার সময় হলে ছেলেরা আরেকটি বিষয়ে অজুহাত দাঁড় করাতে পারে। সেটি হলো ‘যোগ্যতা’। ‘আমি তোমার যোগ্য নই, তুমি আমার থেকেও যোগ্য কাউকে পাবে’- এটি বলার মানে হচ্ছে সে নিজের সঙ্গে আপনাকে আর জড়াতে চাইছে না। যদি সে সত্যিই অযোগ্য হয় এবং যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিচার করে যদি সব হতো, তাহলে তো তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক হওয়ারই কথা নয়! শেষে এসে যোগ্যতার প্রসঙ্গ টানছে মানে সে আপনাকে ছেড়ে যেতে চাইছে।

পরিবার
‘আমি আমার মা-বাবাকে কষ্ট দিতে পারবো না’ বা ‘আমার পরিবার তোমাকে কখনোই মেনে নেবে না’ এটিও একটি কমন অজুহাত। এটি অবশ্য ছেলে কিংবা মেয়ে দুই পক্ষই ব্যবহার করে থাকে। মা-বাবার কষ্টকে প্রাধান্য দিলে সম্পর্কে জড়ানোর আগেই দেয়া উচিৎ। মা-বাবার পছন্দেই যদি সম্পর্ক গড়তে হয় তবে নিজের আলাদা করে কোনো পছন্দ রাখা উচিৎ নয়। কারণ এতে করে অযথাই কষ্ট দেয়া হয় আরেকজনকে।

আজকের বাজার/আরআইএস