হলি আর্টিজানের নৃশংস জঙ্গি হামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এমন বর্বরোচিত ঘটনায় জঙ্গিদের ফাঁসির রায়ে সাধারণ মানুষও স্বস্তি প্রকাশ করছেন। তবে আলোচিত এই মামলার রায়ের খবরকে অনেকটা পেছনে ফেলে বিতর্কের জন্ম দিল জঙ্গিদের মাথায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি।
আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে এলো তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। বুধবার রায় ঘোষণার পর আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে কি আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে।’
রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির মধ্যে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধীর মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি দেখা গেছে।
এর আগে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের পর আসামিদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালত কক্ষ থেকে বের করার সময় তারা স্লোগান দিতে থাকে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নব্য জেএমবির এসব জঙ্গিদের আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার সময় তারা প্রিজনভ্যানের ভেতর থেকে চিৎকার করে নিজেদের কর্মকাণ্ডের পক্ষে বলতে থাকেন। একই সঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সকালেও আসামিরা হাসিমুখে আঙুল উঁচিয়ে আদালতে প্রবেশ করে। তখন তাদের চোখেমুখে কোনো চিন্তার ছাপ ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সকালে আদালতে হাজির করার সময় কারো মাথায় এমন টুপি ছিল না। কিন্তু বের হওয়ার সময় রাকিবুলের মাথায় এই টুপি দেখা যায়।
কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা এসব জঙ্গিরা আইএসের প্রতীক সংবলিত টুপি কোথায় পেলেন তা নিয়ে বিস্ময় ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
তবে আসামিরা কারাগার থেকে এ টুপি নিয়ে এসেছেন নাকি আদালতে আনার সময় বা আনার পর কোনোভাবে তাদের কাছে এই টুপি এসেছে তা এখনও জানা যায়নি।
আজকের বাজার/লুৎফর রহমান