জঙ্গীবাদ ও মাদকাশক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

জঙ্গীবাদ আর মাদকাশক্তি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এ দুটি পথ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

বুধবার (৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশীদিন চলতে পারবেন না। আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা ত্যাগ করে জনকল্যাণে, সেবার মনোভাব ও শিক্ষার জন্য অবদান রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোন পথ খোলা রাখেননি।

তিনি বলেন, আমরা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা সকলেই আমাদের সন্তান এবং জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের সকলের জন্যই মানসম্মত শিক্ষা এবং সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষক এবং অভিভাবকগণকে বিশেষভাবে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে – যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিপদগামী না হয়। জঙ্গীবাদ ও মাদকাশক্তির কালো হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষায় তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা ও জ্ঞান প্রযুক্তিতে দক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, এসইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাঈদ সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. এ এম শামীম।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ ২ হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ২ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড, ২১ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়াড এবর্ং ৪৪ জনকে ডিন’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

রাসেল/