নড়াইলে দায়ের করা মানহানির মামলায় খালেদার জামিন আবেদন হাই কোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছে। শুধু তা্ই নয় তার আইনজীবীদের জজ আদালত থেকেও ফিরতে হল খালি হাতে।
মঙ্গলবার নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদ ওই মামলায় খালেদার জামিন আবেদন নাকচ করে বলেছেন, হাকিম আদালত জামিন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই জজ আদালতে আসায় ওই আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
নিম্ন আদালতে আদেশের আগেই উচ্চ আদালতে আবেদন করায় নড়াইলে খালেদা জিয়ার মানহানি মামলার জামিনের আবেদন গ্রহণ করেনি আদালত।
নড়াইলের আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করা হয় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে।
নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় তার মুক্তি আটকে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য মামলাতেও বিএনপি নেত্রীর জামিন করানোর উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা। নড়াইলের এই মানহানির মামলায় খালেদার জামিন আবেদন শুনে হাকিম আদালত আদেশের জন্য ৩০ অগাস্ট দিন রাখে।
তার আগেই খালেদার মুক্তির পথ খোলার চেষ্টায় গত ২০ মে হাই কোর্টে আবেদন নিয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা।
কিন্তু নড়াইলের আদালতে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে জানার পর বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চে গত ২৮ মে ওই আবেদন উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
হাই কোর্টের বিচারক সেদিক খালেদার আইনজীবীদের বলেন, যেহেতু এটা জামিনযোগ্য মামলা, তাদের আগে নিম্ন আদালতে শুনানি করে আসতে হবে। সেখানে না হলে তখন হাই কোর্ট বিবেচনা করবে।
ওই আদেশ হতে আরও তিন মাস বাকি থাকায় খালেদার আইনজীবীরা নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যান। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আবেদন না মঞ্জুর করা হয়।
শুনানির পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিম্ন আদালতের আদেশ ব্যতিরেকে এই আবেদন করা হয়েছে বলে জজ আদালত তা নামঞ্জুর করেছে।’
নড়াইল আদালতের পিপি ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘নিম্ন আদালতে জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে; এটা আইনসম্মত নয়।
আইনসম্মতভাবে আবেদন না করায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছে আদালত। এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।’
আজকের বাজার/এসএম