জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও কমেছে প্রবাসী আয়

২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে আগের বছরগুলোর তুলনায় জনশক্তি রপ্তানি অনেক বাড়লেও বাড়েনি প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স। উল্টো আলোচ্য বছরের ২০১৬ ও ২০১৫ সালের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরুর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। রামরুর তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ ৯৩ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছে। যেখানে ২০১৬ সালে গিয়েছিলো ৭ লাখ ৫৭ হাজার জন। আর ২০১৫ সালে গিয়েছিলো ৫ লাখ ৫৫ হাজার জন।

তবে রামরুর এই প্রতিবেদন বলছে, গত ৩ বছর ধরে যেখানে প্রবাসী কর্মী যাওয়ার হার বেড়েছে সেখানে ধারাবাহিকভাবেই কমেছে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্সের পরিমাণ।

রামরু বলছে, ২০১৭ সালে ২০১৬ সালের তুলনায় রেমিট্যান্স কম এসেছে দশমিক ৮৯ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে ২০১৭ সালে প্রবাসী কর্মীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৫০ কোটি ডলার। আর ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ১৩৬১ কোটি ডলার।

তবে ২০১৫ সালে মাত্র ৫ লাখ ৫৫ হাজার জন কর্মী বিদেশে গেলেও সে বছর প্রবাসীদের পাঠানো আয়ের পরিমাণ ছিল ১৫১১ কোটি ডলার।

এদিকে হঠাৎ করে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অবৈধভাবে যেমন, হুন্ডি, বিকাশ ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা পাঠানোয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স কম এসেছে। তাই মোট হিসাবে কম মনে হয়!

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা কিছু দিন আগে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রবাসীদের আয় কমে গেছে। ওই এলাকার অর্থনীতিতে তেলের দামের প্রভাব পড়েছে। সেখানকার প্রবাসীরা আগের মতো আয় করতে পারছেন না।

তবে বছরের শেষ দিকে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, বেশ কিছু কারণে প্রবাসী আয় কমে গিয়েছিল। তার মধ্যে আমরা হুন্ডি বন্ধ করতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ডলারের দামও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করেছে।

আজকের বাজার : এলকে/ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭