জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কর্ম-পরিকল্পনা (আইসিপিপি পিওএ)’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা (এসএসসি)’র প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়ন’ খাতে অর্জিত সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো দক্ষিণের দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরান হাসান আরও বলেন, ‘পাশাপাশি অন্যান্য অংশীদার ও জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাসমূহের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো আমরা শিখতে আগ্রহী।
‘এছাড়া দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে চা,’ বলেন তিনি।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন পপুলেশন এন্ড ডেভোলপমেন্টের (সিপিডি) ৫২তম অধিবেশনে ‘আইসিপিপি পিওএ এবং এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার লক্ষ্যসমূহ অর্জনে শেখ হাসিনা সরকারের অসামান্য অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নবজাতক, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ও প্রসবকালীন মৃত্যুহার হ্রাস; গড়আয়ু বৃদ্ধি; জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি; দারিদ্র্য হ্রাস; প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি; লিঙ্গবৈষম্য দূর ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’র আওতাভুক্ত দেশগুলোতে ‘আইসিপিপি পিওএ’ এবং ‘এজেন্ডা-২০৩০’ অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিমন্ত্রী কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- এসএসসি’কে শক্তিশালীকরণ এবং জনসংখ্যা ও উন্নয়ন এজন্ডাসমূহ বাস্তবায়নে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ গড়ে তুলতে আরও বেশি বিনিয়োগ করা, এসএসসি ভুক্ত উন্নয়নশীল দেশসমূহের ফোকাল ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বিনির্মাণের সুযোগ বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, নতুন অংশীদারিত্ব, জ্ঞান-বিনিময় ও প্রমাণিত সর্বোত্তম অনুশীলনসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এসএসসি ও ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশনকে আরও এগিয়ে নিতে একটি কৌশলগত ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা, এবং) জাতীয় নীতি ও বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্ত্যুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয়দানের কথা এবং এর ফলে সৃষ্ট স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জসহ বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন।
পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশু ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি।
সিপিডি’র ৫২তম সেশনের মুল প্রতিপাদ্য ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কর্ম-পরিকল্পনার পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা-২০৩০ এর ফলোআপ ও রিভিউ’র ক্ষেত্রে এই কর্ম-পরিকল্পনার অবদান’।
সূত্র - ইউএনবি