জবাব দেয়ার সময় বেশি দেরি নেই: রিজভী

আধিপত্য বিস্তার ও সরকারের দুঃশাসনের কারণেই রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং দেশে খুন-দুবৃত্তায়ণ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য দিন দিন খারাপের দিকে গেলেও সরকার সেদিকে কোনো দৃষ্টি দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেক বার বার বলা হলেও এখনো তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে দিন। নইলে এর দায়ভার নয় উপযুক্ত জবাব জনগণ দেবে। জনগণের জবাব দেয়ার সময় বেশি দেরি নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি পাহাড়ে হত্যাকাণ্ড, চেয়ারম্যান সিরাজুল হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগ দু:শাষণের বড় দৃষ্টান্ত। সরকারের পায়ের তলা থেকে জনসমর্থন সরে গেছে। তারা বেআইনী অস্ত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দুর্বৃত্তদের মাথায় হাত রেখে দেশ চালাচ্ছে বলেই সারাদেশ খুন-খারাবিতে ভরে গেছে।

রিজভী বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে পুলিশি তাণ্ডব, গণগ্রেফতার এবং এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ দিনকে দিন আরো পরিব্যাপ্ত হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদানসহ নানাভাবে হয়রানিও করছে পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ। ভরাডুবির ভয়ে সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। আওয়ামী শাসন কখনোই ভোটাধিকার, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়নি। গণমাধ্যমে একতরফা ফলাফল ঘোষণা করাই প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়।

তিনি অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে পুলিশি অভিযানের অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ টঙ্গী থানায় পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন। তিনি রাতে টঙ্গীতে অঞ্চল ভিত্তিক একটি সমিতির কর্মকর্তাদের সাথেও গোপন বৈঠক করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মামুন আহমেদ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এস/