জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন, ১০ জন শিক্ষার্থীকে কিশোরগঞ্জের হাওর থেকে উদ্ধার হয়েছে

পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার পর কিশোরগঞ্জের হাওরে ঝড়ের কবলে আটকে পড়া ১০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘১০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ এক শিক্ষার্থী ফোন করে জানান, ‘কিশোরগঞ্জের একটি হাওরে ট্রলার বিকল হয়ে তিনি সহ ১০ জন আটকা পড়েছেন’।

আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়েন। তারা মিঠামইন থানার বালিখোলা ঘাট থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে হাওরে ঘুরতে যান। আশেপাশের বিভিন্ন হাওরে ঘুরে বেড়িয়ে বালিখোলা ঘাটে ফেরার পথে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ থানার নাওগাং হাওরে তাদের ট্রলারের প্রপেলারের পাখা ভেঙে যায়। তখন আবহাওয়া ছিল দুর্যোগপূর্ণ, ঝড়ো হাওয়া বইছিল। হাওরে ঢেউয়ের তোড়ে তাদের বিকল ট্রলারটি দিকবিদিক ভাসছিল। ট্রলারের মাঝি তার পরিচিত জনদের কাছে ফোনে সাহায্য চান। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি। তখন তুষার নামে এক শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ জানান।

৯৯৯এ কলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি, ওসি মিঠামইন থানা ও চামটাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় চামটাঘাট ফাঁড়ির একটি নৌ টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করতে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয় এবং তাদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান