আকাশে মেঘের গর্জন আর বজ্রপাতের ঝলকানি,দিনের আলো ফুটে উঠবার আগেই রাজধানীর সকালটা শুরু হয় এভাবে। মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নগরবাসীকে ছুটতে হয়েছে যার যার কর্মস্থলে। দুপুর পযর্ন্ত টানা বর্ষণে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে জলজটের সঙ্গী হয়েছে চিরচেনা যানজট। এ কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী,অফিসগামী মানুষকে পোহাতে হয়েছে চরম দুর্ভোগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকায় ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর কোনো কোনো সড়কে হাঁটু পানি জমেছে। কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ২৭, সোবহানবাগ, বসুন্ধরা সিটির পেছনে গার্ডেন রোড, পান্থপথ মোড় পার হয়ে গ্রিনরোডের কিছু জায়গা, কাজিপড়া,সেওড়াপাড়া,কাফরুল-কচুক্ষেত, পশ্চিম তেজতুরী পাড়া, ফকিরাপুর, খিলগাঁও, মতিঝিল, পল্টনসহ বেশির ভাগ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
হঠাৎ বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। ভারি বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর অনেক সড়কেই কমে যায় যানবাহন চলচাল। হাঁটু কি কোথাও কোথাও পানি ডিঙিয়ে শিক্ষার্থী কিম্বা অফিসগামীদের যেতে হয়েছে নিজ গন্তব্যে।
আর বৃষ্টির মানে দ্বিগুণ কি তিনগুণ ভাড়া। কি রিকশা নাকি সিএনজি সবকিছুতেই একইচিত্র। ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা।
তবে যাদের নিজস্ব পরিবহন আছে, যানবাহন খোঁজার ঝক্কি পেহাতে হয়নি তাদের। কিন্তু জলজটে পড়ে থমকেছে তাদের কর্মঘন্টার চাকা। পানিতে কারো কারো নষ্ট হয়েছে নিজস্ব যানবাহন।
বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারণে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছে একই জায়গায়। অফিসগামীরা নির্ধারিত সময় পৌঁছাতে পারেননি কর্মস্থলে।
এদিকে বৃষ্টিতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের খেটে খাওয়া মানুষ। মুর্হূতে হাঁটু পানি উঠায় সবজিসহ কাঁচা পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কোথাও কোথাও পানিতে সবজি ভাসতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু রাজধানীতে নয়, সারা দেশেই মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটেও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭