প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি সরে আসার পর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তেল বাজারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দর আবারও ৫০ ডলারের নিচে চলে যায়। গত মে মাসের পর যা সর্বনিম্ন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে দোলাচলে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু চুক্তিকে তোয়াক্কা না করে জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর এ আশঙ্কায় ২ জুন শুক্রবার আগামীতে ডেলিভারি হতে যাওয়া অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের অপরিশোধিত জ্বালানি ব্যারেলপ্রতি ৪৯.৫২ ডলারে কেনাবেচা হয়। আর ইউএস টেক্সাস শ্রেণির ক্রুড তেল বিক্রি হয় ১.০৭ ডলার কমে ৪৭.২৯ ডলারে।
২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্যে ২০০ দেশ ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তিকে সমর্থন করে। এ চুক্তির প্রধান লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি সরে আসা মানেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিকে প্রশ্রয় দেওয়া; জ্বালানি তেলের সীমিত উত্তোলনকে তোয়াক্কা না করা।
দুবাই এর একটি জ্বালানি ব্রোকার হাউসের কর্মকর্তা ম্যাট স্ট্যানলি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন পাগলের মতো জ্বালানি উৎপাদন করে যাবে। সেটা আমরা দেখছি; পরেও দেখবো।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় এখন তার বন্ধু দেশগুলোও একই পথ বেছে নেবে। কাগজ কলমে চুক্তিতে থাকলে কার্যত তারা পাথরের মতো পড়ে থাকবে।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন- ওপেক যখন বার বার তেল উৎপাদন কমানোর কথা বলে আসছে সেখানে গত সপ্তাহের চিত্রে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের চেয়ে এ সপ্তাহে দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল বেশি তেল উত্তোলন করেছে।
এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক দেশের বিনিয়োগকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে দিচ্ছে।
২০১৪ সালের জুনে এক ব্যারেল তেলের দর ছিল ১০৭ ডলার। এর পর ধীরে ধীরে এই দর কমতে থাকে। এক পর্যায়ে তা মাত্র ২৯ ডলারেও নেমেছিল। এরপর ওপেক বারবার এ বাজারকে চাঙ্গা করার জন্য বৈঠক করে আসছে।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ২ জুন ২০১৭