জলবায়ু চুক্তি ইস্যুতে অনড় যুক্তরাষ্ট্র

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে যাওয়া বিষয়ে সম্প্রতি যে কথা উঠেছে অস্বীকার করেছে দেশটি। সেই সঙ্গে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কথা আবারও নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার কানাডার মন্ট্রিয়েলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ৩০টিরও বেশি দেশের মন্ত্রীদের এক বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিও। তবে ওই দিনই হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা চুক্তিটি থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনায় অটল রয়েছে।

উল্লেখ,সম্প্রতি এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লাইমেট অ্যাকশন ও এনার্জি কমিশনার মিগুয়েল আরিয়াস কানেতির বারতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসবে না এবং চুক্তিটিতে আবার যুক্ত চায়।

তবে শনিবার মন্ট্রিয়েলে কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রর নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে এমন কোনো কথা কানেতি বলেননি।

আর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার বলেছেন, প্যারিস চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, চুক্তির শর্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত এ থেকে দূরে থাকবে আমাদের দেশ।

জুনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ২০১৫ সালের ওই বিশ্ব জলবায়ু চুক্তি থেকে তার দেশকে সরিয়ে নিবেন তিনি। এই চুক্তি মানলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে যুক্তি দেখান তিনি।

চলতি বছরের আগস্টে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে জাতিসংঘে পেশ করা চিঠিতেও বলেছিল, চুক্তির শর্তগুলো অনুকুল হলে তারা এতে যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকবে।

তবে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির নিচে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রস্তাবে সম্মত প্রায় ২০০ দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭