জহিরুলের ব্যাটিং-এ হার এড়ালো রাজশাহী

ওপেনার ও অধিনায়ক জহিরুল ইসলামের ধৈর্য্যশীল ইনিংসের কল্যাণে ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম স্তরের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে হার এড়ালো রাজশাহী বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন জহিরুল। যেখানে ইনিংসে উইকেটে টিকে থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের। আর সেই কাজটি যথাযথভাবে পালন করেন জহিরুল। ফলে ম্যাচটি ড্র’তে শেষ হয়।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান করে ঢাকা বিভাগ। জবাবে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী বিভাগ। ফলে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড পায় ঢাকা বিভাগ। এই লিডকে সাথে নিয়ে গতকাল, তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২০৬ রান করেছিলো ঢাকা বিভাগ। তাইবুর রহমান ৬৭ ও সুমন খান ১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিলেন।
চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই দলীয় ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা বিভাগ। তাইবুর ৮৮ রানে আউট হন। তার ১৯৫ বলের ইনিংসে ৩টি করে চার-ছক্কা ছিলো। প্রথম ইনিংসেও ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইবুর। রাজশাহী বিভাগের তাইজুল ইসলাম ১০৫ রানে ৫ উইকেট নেন।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে জয়ের জন্য রাজশাহীকে ২৯৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় ঢাকা বিভাগ। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় রাজশাহী। ২০ রানে হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো রাজশাহী। কারন ৫৫তম ওভারে ৯৯ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে তাদের। তখনও দিনের ১০ ওভারের মত খেলা বাকী ছিলো। তাই বাকী সময়ে রাজশাহীর ৫ উইকেট তুলে ম্যাচ জিততে মরিয়া হয়ে উঠে ঢাকা বিভাগ। এ সময় ধৈর্য্য নিয়ে উইকেটে টিকে থাকাটাই মূখ্য ছিলো।

তাই সেই কাজটি করে দেখান জহিরুল ও উইকেটরক্ষক সাকির হোসেন। ষষ্ঠ উইকেটে ধৈর্য্যশীল জুটি গড়েন জহিরুল ও সাকি। পরের ৯ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচকে ড্র’তে পরিণত করেন জহিরুল ও সাকির। জহিরুল ১৮১ বল মোকাবেলা করে ২২ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৪০ রান করেন। তার এই বড় ইনিংসে মাত্র ৩টি চার ছিলো। সাকির ২২ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকা বিভাগের সুমন ও শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ঢাকা বিভাগের তাইবুর। দু’ইনিংসে ব্যাট হাতে ৮৮ রান করে করেন তিনি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান