ইউনাইটেড ন্যাশনস সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জে (এসএসই) যুক্ত হচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এসএসই’র এই ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে একটি প্রতিশ্রুতি পত্রে সই করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। গত ৭ জুন এই প্রতিশ্রুতি পত্রে সই করে ডিএসই।
জাতিসংঘের এ উদ্যোগের সঙ্গে বিশ্বের ৭৫টি স্টক এক্সচেঞ্জ একত্রিত হয়েছে। যারা তথ্য আদান প্রদান এবং পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতার উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচারক কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের এই সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও দক্ষ এনভাইরনমেন্টাল, সোস্যাল ও করপোরেট গভর্ণেন্স প্রতিবেদক আসার সুযোগ তৈরি করবে।এতে পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারগণ উপকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, এ বছর থেকে আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদী টেকসই বিনিয়োগ এবং পরিবেশগত, সামাজিক ও কর্পোরেট গভর্ণেন্স বিষয়ে প্রকাশনা ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে যৌথ কর্মশালা আয়োজন শুরু করেছি। মে মাসে প্রায় ৩০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়ে আয়োজিত প্রথম কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে টেকসই প্রতিবেদন ও কর্পোরেট স্বচ্ছতার বিষয়ে প্রচন্ড আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
সাসটেইন্যাবল স্টক এক্সচেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ জাতিসংঘের সমর্থিত সংস্থাসমূহ, স্টক এক্সচেঞ্জ সমূহ, বিনিয়োগকারী, কোম্পানি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্বের কাজ করছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ডিএসই তার তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের পরিবেশগত সামাজিক ও কর্পোরেট গভর্ণেন্স কার্যক্রমে অবদান রাখতে ও প্রকাশ করতে উৎসাহিত করবে।
উল্লেখ্য, এসএসই’র লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য একটি কার্যকরী প্লাটফর্ম প্রদান করা। স্টক এক্সচেঞ্জগুলো বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহ ও কোম্পানিগুলোর সাথে কিভাবে একত্রে কাজ করতে পারে তা উদঘাটনের মাধ্যমে এসএসই টেকসই বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। একইসঙ্গে কর্পোরেট স্বচ্ছতা ও পরিবেশ, সমাজ ও কর্পোরেট গভর্ণেন্স বিষয়ে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
জাকির