বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের উপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র ‘জন্মভূমি’ প্রদর্শিত হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে ৮ জুলাই এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। এর সহ-আয়োজক ছিল কেনিয়া ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশন (ইউএনএইচসিআর)।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুটপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত অন্ত:স্বত্ত্বা রোহিঙ্গা নারী সোফিয়া’র নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার আকুতি এবং আগত সন্তানতে জন্মভূমি ছাড়া অন্য কোথাও জন্ম না দেওয়ার তীব্র আকাঙ্খা ও দৃঢ়তা এই চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি চলচ্চিত্রটিতে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবিড়ম্বিত এই জনগোষ্ঠীর অসহায়ত্বের কথা।
আলোচনা পর্বে অংশ নেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত জার্গ লাউবার, কেনিয়ার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত কোকি মুলি গ্রিগনন, ইউএনএইচসিআর-এর সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজর অর্জুন জেইন, আরটিভি’র সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, চলচ্চিত্রটির যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশক রাজ হামিদ এবং টিন বিউটি ইন্টারন্যাশনাল মিজ্ ভারত ২০০৯ ইন্দোনেশিয়ান-আমেরিকান কিশোরী সুজান কচ।
সিনেমাটির মূল চরিত্র সোফিয়া যেন বিশ্বের সকল নির্মম সহিংসতার শিকার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের কন্ঠস্বরকেই প্রতিফলিত করছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও কূটনীতিকগণ, নিউইয়র্কস্থ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, নিউইয়র্কস্থ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার মানবাধিকার কর্মী, লেখক, চলচ্চিত্রকার, ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার, টিভি উপস্থাপক, অভিনেত্রী, মডেল ও শিল্পীগণ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বিপুল সংখ্যক নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক বিশেষ করে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণও অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেন।
আজকের বাজার/লুৎফর রহমান