একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দুটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ দুটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আজ সোমবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২২ দফা প্রস্তাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এ কর্মপরিকল্পনা ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাই বেশি।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা নিয়েই ইসির এ বৈঠক।
ইসির কর্মপরিকল্পনার ভোটের আগে প্রস্তুতিমূলক ২২ ধরনের কাজের বিবরণ আছে। এগুলো বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে আগামী ১৬ অক্টোবর-১০ নভেম্বর পর্যন্ত। এগুলোর মধ্যে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি গঠন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো নিয়ে বৈঠক, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বৈঠক, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সংগ্রহের প্রস্তুতির কথা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইসি সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন আয়োজনে কী কী কাজ করেছি, কী করব এবং কাজের অগ্রগতি সব মিলিয়ে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি কমিশনসভায় অবহিত করা হবে।
ইসির প্রস্তাবিত সংক্ষিপ্ত ২২ দফা হচ্ছে, নির্বাচনী এলাকার সীমানার জিআইএস প্রস্তুত ও মানচিত্রসহ পুস্তিকা এবং পোস্টার প্রস্তুতকরণ (৩০ অক্টোবর), সম্পূরক ভোটার তালিকার সিডি রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে সরবরাহ (২ নভেম্বর), বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য হেল্পডেস্ক স্থাপনে তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জননিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সভা (২০ অক্টোবর), নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ করা (২৫ অক্টোবর), উন্নয়ন অংশীদার বা অন্য কোনোভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রমের অর্থের সংস্থান ও প্রকল্প প্রণয়ন কাজ (১৭ অক্টোবর), নির্বাচনী দ্রব্যদি সামগ্রী ব্যবহার উপযোগী কাজ যেমন ভোট গ্রহণের আগেই সব ব্যালট বাক্স পুনরায় যাচাইকরণ সম্পন্ন করা (২ নভেম্বর) এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম যেমন ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বিষয়ক প্রস্তাবনা এবং সভা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করা।
আজকের বাজার/এমএইচ