স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অনুশীলনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, যে কোন সংবাদ সমালোচনামূলক হতে পারে। কিন্তু দায়িত্বহীন বা নেতিবাচক সাংবাদিকতা উন্নয়নের জন্য যেমন ধ্বংসাত্মক হতে পারে তেমনি জাতীয় স্বার্থেও বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের জন্য দু’দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন,‘‘কোন সংবাদই, এমনকি সেটি যদি সত্যও হয়, জাতীয় স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর হলে তা প্রকাশ করা ঠিক নয়।’’ তাজুল বলেন, কোন সরকারী নীতি কারো কাছে সঠিক মনে নাও হতে পাওে কিন্তু সাংবাদিকসহ সকলেই একমত হবে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে এক জাদুকরি পরিবর্তন এনেছে।
তিনি আরো বলেন,‘তাঁর(প্রধানমন্ত্রী)আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প প্রকল্পটিই দেশের প্রায় দেড় কোটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে।
রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ(পিআইবি)’র সম্মেলন কক্ষে‘‘শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগ এবং উন্নয়ন সাংবাদিকতা’’শীর্ষক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ বিষয়ক এক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস)’র বাসস ইনফোটেইনমেন্ট সার্ভিস এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প। বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং প্রকল্প সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় ২ হাজার মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় অনুযায়ী বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। কারন যে সকল দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫শ’মার্কিন ডলারের কম তারাই দরিদ্র ও অনুন্নত দেশ। সে অনুযায়ী আমরা নির্ধারিত সময়-সীমার আগেই মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাব। তিনি বলেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ নাও করতে পারেন, কিন্তু তিনি দেশকে যে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তা তার কট্টর সমালোচকরাও অস্বীকার করতে পারবেন না।
তাজুল বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে কারো কোন কমপ্রোমাইজ করা যাবে না। কারণ দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এই জায়গায় আমরা যেন কোন ধরনের সমঝোতা না করি। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের নিউজের মাধ্যমে যেমন একটি দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন, আবার তেমনি একটি দেশকে পিছিয়েও দিতে পারেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরপরই কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকা যে দেশের ব্যাপক ক্ষতি করেছিল সে বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। তাজুল আরো বলেন, তাই সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রাখতে গণমাধ্যম কর্মীদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কর্মশালায় সারা দেশের মোট ৩০ জন জেলা সংবাদদাতা অংশ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ দশটি হলো আমার বাড়ি আমার খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ণ, সামাজিক নিরাপত্তা, আশ্রয়ন, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম, সবার জন্য বিদ্যুত, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা। তথ্য-বাসস
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
