যমুনা রেল সেতু নির্মাণসহ ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাপানের কাছে ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছে সরকার। এ বিষয়ে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে সরকারের আলোচনাও হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের আসন্ন ৩৯তম অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট (ওডিএ) প্যাকেজের আওয়ায় এই সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে জাইকার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ঢাকা সফর করে। পরে তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সেই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা আশাকরছি দুই এক মাসের মধ্যে ৩৯তম ওডিএ প্যাকেজ নিয়ে জাইকার সঙ্গে চুক্ত সই করতে পারবো।
তিনি বলেন, চুক্তি সই হয়ে গেলেই ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পে ওই ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তার তহবিল ছাড় শুরু হবে। ওই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুসারে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, ঢাকা মেট্রোরেলের তৃতীয় ফেজে লাইন-৬ নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের লাইন-৫ এর কাজ শেষ হওয়ার সফলতা যাচাই, মাতারবাড়ি আল্ট্রাসুপা ক্রিটিকাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চতুর্থ ফেজের কাজ, যমুনা রেল সেতু নির্মাণ ও স্বাস্থ্য সেবা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।
এই বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ৩৯তম ওডিএ প্যাকেজ মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন, ঢাকা মেট্রোরেলের তৃতীয় ফেজে লাইন-৬ নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেলের লাইন-৫ এর কাজ শেষ হওয়ার ষফলতা যাচাই, মাতারবাড়ি আল্ট্রাসুপা ক্রিটিকাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চতুর্থ ফেজের কাজ, যমুনা রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশেষ সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।
উল্লেখ, গত ৫ বছর ধরে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। বাংলাদেশের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান গড়ে ১০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে আসছে। গত জুন মাসে সই হওয়া ৩৮তম ওডিএ প্যাকেজের আওতায় ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ১৬৪ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়। আর এর আগের বছর ২০১৬ সালের জুনে সই হওয়া ৩৭তম ওডিএ প্যাকেজের আওতায় জাপান বাংলাদেশকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থ সহায়তা দেয়।
আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৩ নভেম্বর ২০১৭