শক্তিশালী টাইফুন জেবির আঘাতে প্রায় ১০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়েছে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। বুধবার জাপানের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়র্টাস জানায়, জাপানে পশ্চিমাঞ্চল্ এলাকায় এই টাইফুনের আঘাতে প্রায় প্রায় এক মিলিয়ন ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জাপানে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন জেবি মঙ্গলবার আঘাত হেনেছে বলে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে।
জাপানের কিয়াটো ও ওসাকারা মতো গুরুত্বর্পূণ শহরে আঘাতের হেনেছে জেবি বলে জানা যায় বিবিসির প্রতিবেদনে।
পশ্চিমাঞ্চলের কানসাই বিমানবন্দরের পানি জমে যা্ওয়ায় সকল ফ্লাইটসহ রেল ও সড়কে সকল যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে বিমানবন্দরের প্রায় তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এছাড়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অনেক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে জাপানে টাইফুন জেবির প্রভাব শুরু হয়। দেশটির আকাশে ঘন কালো মেঘ জমতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এর খবরে বলা হয়েছে, দেশটিতে টাইফুনের আঘাতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে।
আবহাওয়ার বিভাগের প্রধান পূর্বাভাসকারী রিউতা কুরোরা বলেন, ঘন্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে টাইফুন জেবি জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এটি ১৯৯৩ সালের পর জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
সতর্কতামূলত ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয় তিন লাখ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। তাদেরকে পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর কোবের এক হাজার ৫০০টি অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিতে বলা হয়।
আবহাওয়া সংস্থা টেলিভিশন সতর্কবার্তায় বলেছে, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূবাঞ্চলীয় অংশে টাইফুনের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাত ও টর্নেডোসহ প্রচণ্ড বেগে বাতাস, ভূমিধস ও বন্যা দেখা দিতে পারে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে স্থানীয়দের দ্রুত অন্যত্র সরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
কোরিয়ান ভাষায় জেবি অর্থ ‘সোয়ালো’ বা আবাবিল পাখি।