জালাল আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন

অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জালাল আহমেদ চৌধুরী। শব্দের মোহ ছড়িয়ে সবাইকে মুগ্ধ করা মানুষটি আজ থেকে আর কিছু লিখবেন না। তিনি যা লিখতেন তাই যেন অমৃত। কিন্তু আর কখনো পাওয়া যাবে না তার লেখামালা।

মূল পরিচয় ক্রীড়া সাংবাদিক হলেও তিনি ছিলেন একাধারে ক্রিকেটার ও কোচও। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুণী এই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল। অসুস্থ হয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ক্রীড়াঙ্গনের সর্বজন শ্রদ্ধেয় জালাল আহমেদ চৌধুরী ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়।

গত শুক্রবার রাত থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন জালাল চৌধুরী। ছিলেন আইসিইউতেও। ফুসফুসের সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগে শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই ব্যক্তিত্ব। বিশিষ্ট এই ক্রিকেট কোচ রাজধানীর আজিমপুরে একটি ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন। তার সন্তানরা প্রবাসী। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জালাল আহমেদ চৌধুরী সত্তর-আশির দশকে ক্রিকেট খেলেছেন। এরপর ক্রিকেট কোচিং করান। তার হাত ধরে দেশের অনেক শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও তার ছাত্র ছিলেন। এমনকি মোহাম্মদ আশরাফুল-তুষার ইমরানরা তারই শিষ্য।

ক্রিকেট খেলা ও কোচিংই নয়, ক্রীড়া সাংবাদিকতাও করেছেন জালাল চৌধুরী। দেশের পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় তার লেখার দক্ষতা ছিল অসাধারণ।
তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান