জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ

গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-র প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এটি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব। এর আগে বিবিএসের সাময়িক হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছিল।

১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জিডিপির আকার ২৪ হাজার ৯৬৮ কোটি ডলার। তবে এর আকার ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে স্বাধীনতার পর ৩৪ বছর লেগেছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া- কেবল এই তিনটি দেশেই পরপর দুই বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশের বেশি হলো। তিনি মনে করেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশ ছাড়ানোর পেছনে দেশের কৃষক, শ্রমিক, বেসরকারি খাতসহ সবার অবদান আছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা ৬ এর বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ২০১৯ সালে এটাকে আমরা ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারবো।

মন্ত্রী জানান, সরকারের লক্ষ্য হলো-২০৩০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধিকে ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তাহলে ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো দেশে জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে জিডিপির ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এর আগের বছর এই হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

বিবিএসের হিসাবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, শিল্পখাতে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সেবাখাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ১৪ নভেম্বর ২০১৭