জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২২ জুলাই পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য একইদিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে উপস্থিত করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এদিন খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে শুনানি শেষে ২৪ জুলাই পর্যন্ত খালেদার জামিন বর্ধিত করেন আদালত।।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
উল্লেখ্য, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় জামিন পেলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।
আজকের বাজার/এমএইচ